নতুন ভোটার হওয়ার সহজ উপায় (২০২৫)
বর্তমানে যারা এখনো ভোটার হননি, তাদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ রয়েছে। আপনি এখন খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হতে পারেন। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং স্বচ্ছ। আপনাকে শুধু কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নতুন ভোটার আবেদন করার A to Z প্রসেস দেখাবো।
নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্যতা
নিচের দুটি শর্ত পূরণ করলে আপনি নতুন ভোটার হতে পারবেন:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে
অনলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করার নিয়ম (২০২৫)
ধাপ ১: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
ধাপ ২: “নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন” এ ক্লিক করুন
ধাপ ৩: প্রাথমিক তথ্য দিন
- নাম (ইংরেজি)
- জন্মতারিখ
- ক্যাপচা পূরণ করে “বহাল” চাপুন
ধাপ ৪: মোবাইল নম্বর যাচাই
- মোবাইল নম্বর দিন
- এসএমএসে আসা OTP দিন
ধাপ ৫: একাউন্ট তৈরি
- ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করুন
- বহাল চাপুন
আবেদন ফর্মে যা যা লাগবে
ব্যক্তিগত তথ্য:
- নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ, জন্মস্থান
- জাতীয়তা, ধর্ম, বৈবাহিক অবস্থা
- পিতা-মাতার নাম ও এনআইডি
অন্যান্য তথ্য:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পেশা
- শনাক্তকরণ চিহ্ন
ঠিকানা:
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা স্পষ্টভাবে দিতে হবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (স্ক্যান কপি):
- জন্ম নিবন্ধন সনদ (অথবা শিক্ষাগত সনদ)
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড (যদি থাকে)
- ছবি (সম্প্রতি তোলা, পাসপোর্ট সাইজ)
- স্বাক্ষর (সাদা কাগজে কালো কালি)
অতিরিক্ত (যদি নির্বাচন অফিস চায়):
- বিদ্যুৎ বিল / হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ
- স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি (বিবাহিত হলে)
বিঃদ্রঃ বিদ্যুৎ বিল বা ট্যাক্স রশিদ আবশ্যক নয়, তবে অনেক সময় নির্বাচন অফিস চাইতে পারে।
ফর্মে কার কার স্বাক্ষর লাগবে?
- ৩৪ নম্বর: শনাক্তকারী (যেমন: পিতা, মাতা, ভাই/বোন) এর এনআইডি
- ৩৫ নম্বর: শনাক্তকারীর স্বাক্ষর
- ৪০-৪২ নম্বর: যাচাইকারী (চেয়ারম্যান/মেম্বার/প্রধান শিক্ষক) এর নাম, এনআইডি ও স্বাক্ষর
- ৪৩ নম্বর: আবেদনকারীর নিজস্ব স্বাক্ষর বা টিপস
আবেদন সাবমিট করার পর কী করবেন?
- ফর্মটি ও ডকুমেন্টগুলো প্রিন্ট করুন
- নির্ধারিত নির্বাচন অফিসে জমা দিন
- অফিস থেকে ছবি ও বায়োমেট্রিকের তারিখ জানানো হবে
- নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করুন
কবে পাবেন এনআইডি (NID)?
- বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হওয়ার পর অনলাইনে NID ডাউনলোড করা যাবে
- এরপর স্মার্ট কার্ডটি ডাকযোগে বাড়িতে পৌঁছে যাবে
গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- সব তথ্য সঠিকভাবে ও স্পষ্টভাবে পূরণ করুন
- শনাক্তকারী ও যাচাইকারীর তথ্য ভুল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে
- অফিসে বারবার না যাওয়ার জন্য শুরুতেই ফর্মটি নিখুঁতভাবে পূরণ করুন
ভিডিও সহায়তা (যদি থাকে):
আপনি চাইলে নিচের ভিডিও দেখে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন:
[ভিডিও লিংক দিন এখানে]
শেষ কথা
২০২৫ সালে নতুন ভোটার হওয়ার এই অনলাইন পদ্ধতি সহজ ও সাশ্রয়ী। আপনি যদি এখনও ভোটার না হয়ে থাকেন, তবে আজই আবেদন করুন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card) পাওয়া এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ!
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন।