পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে এবং কীভাবে সহজেই নিজে নিজে আবেদন করবেন?

পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে এবং কীভাবে সহজেই নিজে নিজে আবেদন করবেন?

বাংলাদেশে পাসপোর্ট তৈরি করতে গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান, কী কী কাগজপত্র লাগবে, কোথা থেকে আবেদন করতে হবে, কিংবা কীভাবে আবেদন করলে আবেদনটি বাতিল হবে না। আজকের এই লেখায় আমরা খুবই স্পষ্টভাবে এবং ধাপে ধাপে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করবো, যেন আপনি নিজেই ঘরে বসে সহজেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।

বর্তমানে পাসপোর্টের আবেদন সম্পূর্ণভাবে অনলাইনের মাধ্যমে করতে হয়। আগের মতো অফিসে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করার সুযোগ এখন আর নেই। পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।আপনার হাতে যদি একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসেই সহজে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য দালালের প্রয়োজন নেই।

আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করবেন, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আপনার হাতে আসবে:

1. আবেদনের কপি

2. সামারি পৃষ্ঠা (Summary page)

3. অনলাইন পেমেন্টের রশিদ (যদি বিকাশ/নগদ/রকেট/ব্যাংক ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা প্রদান করেন)

এই তিনটি কাগজপত্র সবার জন্যই প্রয়োজনীয়, হোক সেটা শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক বা সরকারি চাকরিজীবী।

পাসপোর্ট আবেদনকারীদের তিনটি মূল ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়:

১.প্রাপ্তবয়স্ক

২. শিশু

৩. সরকারি চাকরিজীবী

প্রত্যেক ক্যাটাগরির জন্য কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

অনলাইনে আবেদনের কপি, সামারি ও পেমেন্ট রশিদ (উল্লেখিত তিনটি)

এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

যদি এনআইডি না থাকে, তাহলে অনলাইন জন্ম সনদের কপি

১৮-২০ বছরের মধ্যে হলে এনআইডি ছাড়া জন্ম সনদ দিয়েও আবেদন করা যাবে

গ্রামে থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, শহরে থাকলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদান করবেনবিবাহিত হলে বিবাহের কাবিননামা (অবিবাহিত হলে লাগবে না)

ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপিআপনার নামে না হলেও চলবে, বাড়িওয়ালার নামে হলেও গ্রহণযোগ্য

সরকারি চাকরিজীবী: জিও (GO) বা এনওসি (NOC)

বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি

ছাত্র/ছাত্রী: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি

বেকার: ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিস থেকে বেকার সনদ

২. শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

থ্রিয়ার সাইজের ল্যাব প্রিন্টেড ছবি

পিছনে ধূসর (gray) ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে

জিও (Government Order) অথবা এনওসি (No Objection Certificate)

চাকরির ধরণ অনুযায়ী যেটা প্রয়োজন হবে

আপনার আবেদনটি যেন বাতিল না হয়, তার জন্য আবেদন করার সময় সঠিক কাগজপত্র সংযুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কাগজের ফটোকপি পরিষ্কার ও বৈধ হতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পরে কাগজপত্র নিয়ে নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে।

এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম, কীভাবে নিজেই সহজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায় এবং কোন কোন কাগজপত্র লাগবে। আবেদন করার পর যদি নির্ধারিত কাগজপত্র যথাযথভাবে জমা দেন, তাহলে আপনার আবেদন বাতিল হবে না। আপনি যদি পুরো প্রক্রিয়াটি মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেন, তাহলে পাসপোর্ট পেতে কোনো সমস্যাই হবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal