নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২৫ । Birth Registration

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

Table of Contents

জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি করা উচিত। বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী, শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করা হয়, তবে শিশুর বয়স ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই নিবন্ধন করাতে হবে। ৫ বছর অতিক্রম হলে অতিরিক্ত নথিপত্র জমা দিতে হয় এবং প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হয়ে যায়।

বর্তমানে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন অনলাইনে করা যায়, যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও সময়সাশ্রয়ী করেছে।

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ধাপসমূহ

১. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটে bdris.gov.bd/br/application লিংকে প্রবেশ করুন।

২. ঠিকানা নির্বাচন করুন

যে স্থানে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি সঠিকভাবে নির্বাচন করুন। এটি আপনার স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানার ভিত্তিতে হতে পারে। সঠিক ঠিকানা নির্বাচন করার পর “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

৩. আবেদন ফরম পূরণ করুন

এখন আবেদন ফরমে শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে। এখানে নিম্নলিখিত তথ্য দিতে হবে—

শিশুর নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে)

জন্ম তারিখ (dd-mm-yyyy ফরম্যাটে)

লিঙ্গ নির্বাচন (পুরুষ/মহিলা/অন্যান্য)

পিতা-মাতার নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে)

পিতা-মাতার কততম সন্তান, তা নির্বাচন করুন

জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন

৪. প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করুন

সঠিক তথ্য দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। সাধারণত নিম্নলিখিত নথি প্রয়োজন হয়—

শিশুর জন্ম সংক্রান্ত হাসপাতালের সনদ (যদি থাকে)

পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ

ঠিকানার প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)

৫. আবেদন যাচাই ও সাবমিট করুন

সব তথ্য ঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদনটি ভালোভাবে রিভিউ করুন। এরপর মোবাইল নম্বরে প্রাপ্ত ওটিপি (OTP) দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন এবং “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।

৬. আবেদনপত্র প্রিন্ট ও জমাদান

আবেদন সাবমিট করার পর একটি PDF ফরম পাওয়া যাবে। সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিন।

৭. ফি প্রদান ও জন্ম সনদ সংগ্রহ

অনলাইনে অথবা সরাসরি অফিসে ফি পরিশোধ করুন। আবেদন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

জন্ম নিবন্ধন করতে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, যা আবেদনকারীর বয়স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বয়স যত বেশি হবে, তত বেশি নথিপত্র লাগবে। নিচে বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো—

জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

০-৪৫ দিন বয়সের শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

1. EPI টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র

2. পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় হতে হবে)

3. বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ বা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ

4. পিতা-মাতার সচল মোবাইল নম্বর

গুরুত্বপূর্ণ:

পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি ভাষায় না থাকলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি নাম অন্তর্ভুক্ত হবে না

৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

1. EPI টিকা কার্ড বা স্বাস্থ্য কর্মীর স্বাক্ষর ও সীলসহ প্রত্যয়নপত্র

2. পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ (অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় থাকতে হবে)

3. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)

4. বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ বা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ

5. পিতা-মাতার সচল মোবাইল নম্বর

6. শিশু যদি কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে, তাহলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

গুরুত্বপূর্ণ:

পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন যদি ইংরেজি ভাষায় না থাকে, তাহলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি নাম আসবে না। তাই জন্ম নিবন্ধনের আগে পিতা-মাতার তথ্য সঠিক কিনা নিশ্চিত করুন।

1. বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক সত্যায়িত প্রত্যয়নপত্র (সরকার অনুমোদিত এমবিবিএস চিকিৎসকের স্বাক্ষরসহ)

2. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (PSC), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (JSC), অথবা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) সনদ (যদি থাকে)

3. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

4. পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ (অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় হতে হবে)

5. বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ, জমির দলিল, বা খাজনা পরিশোধের রশিদ

6. পিতা-মাতার সচল মোবাইল নম্বর

গুরুত্বপূর্ণ:

যদি পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ইংরেজিতে করা না থাকে, তাহলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদেও ইংরেজি নাম অন্তর্ভুক্ত হবে না।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা খুবই সহজ। এখানে ধাপে ধাপে দেখানো হবে কিভাবে আপনি সহজেই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ধাপ ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

জন্ম সনদের জন্য আবেদন করতে প্রথমে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ব্রাউজার খুলুন এবং URL বারে টাইপ করুন Bdris.gov.bd। এরপর আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

ধাপ ২: জন্ম নিবন্ধন আবেদন অপশন নির্বাচন

উপরের ছবির নির্দেশনা অনুসারে—

1. প্রথমে জন্ম নিবন্ধন অপশনটি খুঁজে বের করুন এবং সেখানে ক্লিক করুন।

2. এরপর নিচে থাকা নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৩: জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা নির্বাচন

পূর্ববর্তী ধাপে ক্লিক করার পর, আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফর্মের একটি নতুন পেজে পৌঁছাবেন। এখানে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাবেন—

1. জন্মস্থান – যদি আপনি জন্মস্থানের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে চান, তাহলে এই অপশনটি নির্বাচন করুন।

2. স্থায়ী ঠিকানা – যদি আপনি স্থায়ী ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চান, তাহলে এই অপশনটি নির্বাচন করুন।

জন্ম সনদ করার ক্ষেত্রে আপনি এই দুইটি অপশনের যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক অপশন নির্বাচন করুন। এরপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।


ধাপ ৪: নিবন্ধিত ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য পূরণ করুন

ধাপে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করার পর, আপনি নিবন্ধিত ব্যক্তির পরিচিতি ফর্মে চলে আসবেন। এখানে আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে—

1. নামের প্রথম অংশ (বাংলা): শিশুর নামের প্রথম অংশ বাংলায় লিখুন।

2. নামের শেষের অংশ (বাংলা): শিশুর নামের শেষের অংশ বাংলায় লিখুন।

3. নামের প্রথম অংশ (ইংরেজি): শিশুর নামের প্রথম অংশ ইংরেজিতে লিখুন।

4. নামের শেষের অংশ (ইংরেজি): শিশুর নামের শেষের অংশ ইংরেজিতে লিখুন।

5. জন্ম তারিখ: সন্তানের সঠিক জন্ম তারিখ প্রবেশ করান।

6. পিতা ও মাতার কততম সন্তান: এখানে আপনার সন্তানের অবস্থান নির্বাচন করুন। যেমন— যদি প্রথম সন্তান হয়, তাহলে “প্রথম”, দ্বিতীয় হলে “দ্বিতীয়” নির্বাচন করুন।

7. লিঙ্গ: শিশুর লিঙ্গ নির্বাচন করুন (পুরুষ/মহিলা/অন্যান্য)।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

জন্ম তারিখ বসানোর পর একটি নির্দেশনা বার্তা আসতে পারে, যেখানে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বার্তাটি পড়ে অনুমতি দিন।

প্রতিটি আবশ্যক ঘরের পাশে লাল তারকা চিহ্ন (*) থাকবে, যা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

তথ্য প্রবেশ করানোর সময় বানানের শুদ্ধতা নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে নাম ও জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে।

ধাপ ৫: জন্মস্থানের ঠিকানা পূরণ করুন

এই ধাপে আপনাকে জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ধাপে ধাপে নিচের তথ্যগুলো প্রদান করুন—

1. দেশের নাম: আপনার দেশের নাম নির্বাচন করুন।

2. বিভাগ: যে বিভাগে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, তা নির্বাচন করুন।

3. জেলা: সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন করুন।

4. সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা: আপনার অবস্থান অনুযায়ী সঠিক অপশনটি নির্বাচন করুন।

5. পৌরসভা/ইউনিয়ন: আবেদনকারী যে পৌরসভা বা ইউনিয়নে অবস্থান করেন, তা নির্বাচন করুন।

6. ওয়ার্ড: নির্ধারিত ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।

7. ডাকঘর (বাংলা): বাংলায় ডাকঘরের নাম লিখুন।

8. ডাকঘর (ইংরেজি): ইংরেজিতে ডাকঘরের নাম লিখুন।

9. গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলা): বাংলায় আপনার বসবাসের এলাকা লিখুন।

10. গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (ইংরেজি): ইংরেজিতে আপনার বসবাসের এলাকা লিখুন।

11. বাসা ও সড়ক নম্বর (বাংলা): যদি জানা থাকে, তাহলে বাংলায় লিখুন।

12. বাসা ও সড়ক নম্বর (ইংরেজি): যদি জানা থাকে, তাহলে ইংরেজিতে লিখুন।

সঠিকভাবে সমস্ত তথ্য পূরণ করার পর, “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬: পিতা-মাতার তথ্য পূরণ করুন

এই ধাপে আপনাকে পিতা-মাতার তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। নিচে নির্দেশনা দেওয়া হলো—

১. পিতার তথ্য:

  • পিতার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখতে হবে।
  • পিতার জন্ম তারিখ ঠিকভাবে দিতে হবে।
  • পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে।
  • পিতার জাতীয়তা ঠিকমতো নির্বাচন করতে হবে।

২. মাতার তথ্য:

  • মায়ের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
  • মায়ের জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখতে হবে।
  • মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে।
  • মায়ের জাতীয়তা নির্বাচন করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

অবশ্যই ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।

পিতা-মাতা উভয়ের জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় প্রদান করতে হবে।

সব তথ্য পূর্ণ হলে, “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।


ধাপ ৭: স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন

ধাপ ৬ এ “পরবর্তী” ক্লিক করার পরে, আপনাকে স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত একটি নতুন পেজে নিয়ে আসা হবে। এখানে আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে—

1. দেশের নাম: আপনার দেশের নাম নির্বাচন করুন।

2. বিভাগ: যে বিভাগে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে, তা নির্বাচন করুন।

3. জেলা: সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন করুন।

4. সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা: আপনার অবস্থান অনুযায়ী সঠিক অপশনটি নির্বাচন করুন।

5. পৌরসভা/ইউনিয়ন: যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, সেটি নির্বাচন করুন।

6. ওয়ার্ড: নির্ধারিত ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।

7. ডাকঘর (বাংলা): বাংলায় ডাকঘরের নাম লিখুন।

8. ডাকঘর (ইংরেজি): ইংরেজিতে ডাকঘরের নাম লিখুন।

9. গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলা): বাংলায় আপনার বসবাসের এলাকা লিখুন।

10. গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (ইংরেজি): ইংরেজিতে আপনার বসবাসের এলাকা লিখুন।

11. বাসা ও সড়ক নম্বর (বাংলা): যদি জানা থাকে, তাহলে বাংলায় লিখুন।

12. বাসা ও সড়ক নম্বর (ইংরেজি): যদি জানা থাকে, তাহলে ইংরেজিতে লিখুন।

ধাপ ৮: বর্তমান ঠিকানা পূরণ করুন

ধাপ ৭ সম্পন্ন করার পরে, আপনাকে বর্তমান ঠিকানা সংক্রান্ত একটি নতুন পেজে নিয়ে আসা হবে।

যদি স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হয়, তাহলে “স্থায়ী ঠিকানার অনুরূপ” অপশনে টিক চিহ্ন দিন। এতে আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমান ঠিকানার ঘরগুলোতে বসে যাবে।

যদি বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানার থেকে আলাদা হয়, তাহলে নতুন করে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো পূরণ করুন—

1. দেশের নাম নির্বাচন করুন।

2. বিভাগ নির্বাচন করুন।

3. জেলা নির্বাচন করুন।

4. সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা নির্বাচন করুন।

5. পৌরসভা/ইউনিয়ন নির্বাচন করুন।

6. ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।

7. ডাকঘর (বাংলা ও ইংরেজি) লিখুন।

8. গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলা ও ইংরেজি) লিখুন।

9. বাসা ও সড়ক নম্বর (বাংলা ও ইংরেজি) লিখুন।

সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর, “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৯: আবেদনধীন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক নির্বাচন করুন

এই ধাপে আপনাকে আবেদনকারী এবং জন্ম নিবন্ধনধারী ব্যক্তির মধ্যকার সম্পর্ক নির্বাচন করতে হবে।

1. যদি আবেদনকারী পিতা, মাতা বা নিজ হন, তাহলে সম্পর্ক নির্বাচন করুন:

পিতা

মাতা

নিজ (যদি আবেদনকারী স্বয়ং নিজের জন্য আবেদন করেন)

2. যদি আবেদনকারী পিতা-মাতা ব্যতীত অন্য কেউ হন, তাহলে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে:

আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে)।

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।

জন্ম তারিখ।

আবেদনকারীর নাম (বাংলা ও ইংরেজি)।


ধাপ ১০: গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আপলোড করুন


এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনাকে সতর্কতার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

আপনার সন্তানের বয়স অনুযায়ী নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে:

1. সন্তানের টিকা কার্ড অথবা হাসপাতালের চিকিৎসকের ছাড়পত্র।

2. পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি)।

ফাইল আপলোড করার নিয়ম:

শুধুমাত্র ইমেজ ফাইল (JPG, PNG) ফরম্যাটে আপলোড করা যাবে।

প্রতিটি ফাইলের সর্বোচ্চ সাইজ ২ মেগাবাইটের মধ্যে হতে হবে।

আপনার ডকুমেন্ট আগে থেকেই স্ক্যান করে মোবাইল বা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করুন, যাতে সহজে আপলোড করতে পারেন।

সকল ফাইল সাবমিট করার পর, “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ১১: আবেদন যাচাই ও নিশ্চিতকরণ

এই ধাপে আপনার আবেদনের সম্পূর্ণ তথ্য পুনরায় যাচাই করার সুযোগ পাবেন। এখানে আপনি যে তথ্যগুলো  লিখেছেন , তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

যাচাই করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, পিতা-মাতার তথ্য এবং আপলোড করা ডকুমেন্ট সঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

যেকোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করুন, কারণ আবেদন একবার সাবমিট হয়ে গেলে সংশোধনের জন্য দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

ধাপ ১২: OTP ভেরিফিকেশন

এই ধাপে আপনার মোবাইল নম্বর বা ইমেইলের মাধ্যমে OTP (One-Time Password) যাচাই করতে হবে।

ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:

1. মোবাইল নম্বর বা ইমেইল প্রদান করুন।

2. “OTP পাঠান” অপশনে ক্লিক করুন।

3. আপনার মোবাইল বা ইমেইলে পাঠানো OTP কোডটি নির্ধারিত ঘরে লিখুন।

4. সঠিকভাবে OTP প্রদান করার পর “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

OTP যাচাই সম্পন্ন হলে, আপনার আবেদন সফলভাবে সাবমিট হবে।

ধাপ ১৩: আবেদন সম্পন্ন ও আবেদন আইডি গ্রহণ

আবেদন সফলভাবে সাবমিট করার পর আপনার আবেদন আইডি পাবেন।

এই আবেদন আইডিটি সংরক্ষণ করুন, কারণ এটি ভবিষ্যতে আবেদনের অগ্রগতি জানতে কাজে লাগবে।

আপনার আবেদন আইডি ব্যবহার করে আবেদন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

এই ডাউনলোড করা কপিটি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় জমা দিন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।

এভাবেই আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

FAQ

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

জন্ম নিবন্ধন সাধারণত ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সের মধ্যে ফ্রি করা হয়।

এর চেয়ে বেশি বয়স হলে, সরকারি ফি হিসেবে ৫০ টাকা পরিশোধ করতে হয়।

বিশেষ পরিস্থিতিতে বা জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করলে ফি বৃদ্ধি পেতে পারে, যার পরিমাণ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন অফিসের নীতির উপর নির্ভর করে।

জন্ম নিবন্ধন হতে কতদিন সময় লাগে?

সাধারণভাবে, জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর ৭ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জন্ম সনদ প্রদান করা হয়।

তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটু বেশি সময়ও লাগতে পারে।

জরুরি আবেদন বা দ্রুত সনদ প্রাপ্তির জন্য অতিরিক্ত ফি পরিশোধের প্রয়োজন হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal